বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনার আমতলীতে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত যেন সবুজের সমারোহ। শুধু ধান আর ধান। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় স্বস্তিতে কৃষকরা। ভালো ফলন ও দাম বেশী থাকায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় এ বছর আমনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ১’শ হেক্টর। কৃষকরা প্রতি বছর বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আউশ ধান রোপণ করেন। এ বছর কৃষকরা ব্রি-৪৮ ও ব্রি-২৭ দুই জাতের ধান রোপণ করেছেন। শুরুতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানলেও আউশের ক্ষেতের তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা হেক্টর প্রতি চার থেকে সারে চার টন ধান পাবেন বলে আশা করছেন। শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে ধান কাটা শুরু হয়ে চলে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। বর্তমানে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে প্রতিমণ ধান ৯শ’ থেকে সাড়ে ৯’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছর ভালো লাভবান হবে বলে জানান কৃষকরা। তবে গত পাঁচ দিন ধরে অতি বর্ষণে কৃষকদের ধান কাটায় সমস্যা হচ্ছে। এদিকে এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ৬ একর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো ও ধানের দাম বেশী । চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ কড়া জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছি। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ফসল ভালো হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। এ বছর কোন লোকসান হবে না। আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন শরীফ বলেন, আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি ভালো লাভবান হওয়া যাবে। আমতলী ধান আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বাজারে আউশ ধানের চাহিদা থাকায় দাম ভালো। প্রতিমণ ধান ৯’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম থাকলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আউশের ভালো ফলন হয়েছে। লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। এভাবে ধানের দাম থাকলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন।
Leave a Reply